Only Willpower নয়, স্বপ্ন পূরণ করতে চাই Extreme Emotion
প্রায় 70 হাজার লোক করতালিতে ফেটে পড়ছে । বিরাট বড় একটা স্টেডিয়াম আজ উপচে পড়েছে এই সন্ধ্যায় । প্রতিটা দর্শকের হাতে জ্বলে উঠেছে মোবাইলের মশাল । আসলে সে সমস্ত দর্শক-শ্রোতা বৃন্দের মন প্রাণ একসূত্রে গাঁথা হয়ে আছে আজকের অনুষ্ঠানের প্রাণকেন্দ্রে । ওই বিশাল স্টেডিয়ামের মাঝখানে মাটি থেকে ঠিক 10 ফুট উচ্চতায় কুড়ি ফুট ব্যাসের এক বিরাট রাউন্ড মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে । বড় বড় বিরাট ব্যারেল সাউন্ডে ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা স্টেডিয়ামটা । অত্যাধুনিক লেজার এবং ডিজিটাল আলোকমালায় চারপাশ স্বপ্নের থেকেও যেন সুন্দর । এই উৎসবের প্রাচুর্যের ঠিক মাঝে মঞ্চের একেবারে কেন্দ্রে এক আলোক বৃত্তে ঠিক কেন্দ্র বিন্দুতে দাঁড়িয়ে আছে রূপ, একজন ব্যান্ড গিটারিস্ট । তার আঙ্গুলের ছোঁয়ায় তৈরি হওয়া শব্দ মানুষের হৃদয়কে উত্তাল করে তুলেছে। চোখ ও কান জুড়িয়ে সেটা দখল করে নিয়েছে 70 হাজার মানুষের গোটাটাই । একটু পরেই সেই মঞ্চে হাজির হবে আদিত্য, এই সময়ের সব থেকে সফল দুরন্ত একজন সিঙ্গার সে । এদের পারফরম্যান্সের ঠিক আগেই অসাধারন নৃত্য পরিবেশনায় মনমুগ্ধকর সন্ধ্যা উপহার দিয়েছে চন্দ্রিমা । স্টেজ থেকে গ্রিনরুমে যাওয়ার মাত্র 2 মিনিটের রাস্তা 45 মিনিটে পার করেছে চন্দ্রিমা । ভক্ত এবং তাদের অটোগ্রাফের আবদার । অনুষ্ঠানের শুরুতে সাহিত্যে অবদানের জন্য পুরস্কার পেয়েছে অভিনব ও কমলিকা । আজকের দিনের আগে তাদের পারস্পরিক বন্ধুত্ব না থাকলেও ছেলেবেলা থেকে লেখালেখি করার যে সংগ্রাম আজ তাদের একসাথে পুরস্কারের মঞ্চে নিয়ে এসেছে । অডিয়েন্স ঠাসা স্টেডিয়ামটা যেন এক রূপকথা এই সমস্ত কলাকুশলীর জীবনে । কি এমন স্বপ্নই তো তুমি দেখে থাকো তাইনা? আচ্ছা কেমন হতো যদি সত্যি সত্যিই তুমি এটা অর্জন করে ফেলতে? আচ্ছা এই স্বপ্নটাকে সফল করবার জন্য কতটুকু সচেষ্ট তুমি ? ঠিক কতটা লড়াই তুমি করছো? নিশ্চয়ই তোমার স্বপ্ন, তোমার ইচ্ছা শক্তি, তোমাকে পথ দেখাচ্ছে । কিন্তু শুধুমাত্র ইচ্ছাশক্তি কি পারবে তোমাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে? উইলপাওয়ার, তার একটা সীমা আছে । ওই পরের উপর ভর করে আমরা শুধুমাত্র এটুকুই বলতে পারি যে কোন কিছু আমার চাই । কিন্তু আমরা ঠিক সেটাই পাই যেটা আমরা চাই, চাই, ভীষণভাবে চাই । এটাকে বলে এক্সট্রিম ইমোশন । যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের স্বপ্ন আমাদের ইচ্ছে আমাদের উইলপাওয়ারকে টপকে এক্সট্রিম ইমোশনে রূপান্তরিত না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের স্বপ্নকে হাতের মুঠোয় আনতে পারব না । প্রথমে বলা ওই রুপ কথাটা একবার নিজের চোখে সিনেমার মতো দেখো । একবার কল্পনা করো সেই পথটা, যেখানে চলতে চলতে যখন তুমি এই স্বপ্নকে অর্জন করবে, কিভাবে বদলে যাবে তোমার জীবন, কিভাবে উন্নত হবে তোমার পরিবার, কিভাবে উন্নত হবে তোমার পরিচয় তোমার সমাজে, কিভাবে আরো সুন্দর হবে তোমার সম্পর্ক গুলো । এভাবে যদি প্রতিটা ছবি তোমার মনে আঁকা হয়ে যায়, দাগ কেটে যায় মনের মনিকোঠায়, তুমি পারবেই, তুমি পারবেই রাস্তা খুঁজে বার করতে, ওই শিখরে নিজেকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য । নিজের স্বপ্ন এবং ইচ্ছেকে খুব সুন্দর করে, যত্ন করে আগলে, সেটাকে নিজের মনের এক্সট্রিম ইমোশনে গেঁথে নাও । এটাই সময় পাহাড় চড়বার । যাও খুঁজে বের করো তোমার লক্ষ্যকে, টেনেহিঁচড়ে বার করো তোমার মনের সাবকনসাস জোন থেকে । তাকে আরো ক্ষিদে দাও,তাকে আরো জাগিয়ে রাখো এবং তাকে টেনে নিয়ে চলো ওই পাহাড়ের চূড়ায় যেখানে তোমার রূপ কথা লেখা হবে । Read original article : https://www.planetdb.online/post/only-willpower-%E0%A6%A8%E0%A6%AF-%E0%A6%B8-%E0%A6%AC%E0%A6%AA-%E0%A6%A8-%E0%A6%AA-%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%9A-%E0%A6%87-extreme-emotion